আজ রবিবার, ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জে চলছে গণেশ পূজার প্রস্তুতি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণেশ হিন্দুধর্মালম্বীদের বিশেষ এক দেবতার নাম। যিনি হিন্দুধর্মালম্বীদের সর্বপ্রথম পূজনীয় দেবতা। গণেশ দেবতা হিন্দুধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরে পূজিত হন। তবে গণেশের নামে উৎসর্গিত কোন উৎসব এদেশে পালিত হয় না। ঘটা করে গণেশের পূজা পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিন পালিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেক বাঙালি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এইদিন গণেশ পুজা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসা- বানিজ্য, ধন-সম্পদ লাভ, সুস্থ ও রোগ মুক্তি ভাবে বসবাসের জন্য সকাল থেকেই শহরের হিন্দুধর্মালম্বীদের বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর তাই বছরের প্রথম দিনে প্রথম দেবতার পূজার জন্য চলছে নানা আয়োজন।
সোমবার (৯এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেল, নারায়নগঞ্জে গনেশ পূজার জন্য প্রত্যেকটি মন্দিরে প্রতিমা শিল্পিরা মূর্তি বানানোর কাজে ব্যস্ত দিন পার করছে। শেষ মুহুর্তে চলছে রং তুলির কাজ। পূজা মন্ডপে মূর্তি সরবরাহ করতে দিন-রাত রং তুলির কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
পহেলা বৈশাখ যেহেতু বছরের প্রথমদিন, তাই হিন্দু ব্যবসায়ীরা গণেশ পূজা করে হালখাতা খুলে থাকে। পহেলা বৈশাখ মানে হালখাতার ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা খোলার যাত্রা শুরু হয় পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনেই। পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরন করে নেয়ার পাশাপাশি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে খোলা হবে নতুন হিসাবের খাতা। গণেশ হলেন হিন্দুধর্মেও সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাাধক পূজিত দেবতাদের অন্যতম। তাই তিনি সিদ্ধিদাতা, গনপতি, গজপতি, বিনায়ক, গজানন, গজাস্য, গনদেব, গনণাথ, গনাগ্রণী, বিঘœনাশক, বিঘœবিনায়ক, বিঘœহর, বিঘœরাজ, দ্বৈমাতুর, একদন্ত, অভিজ্ঞানেশ্বর ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
সকল হিন্দুসম্প্রদায়ে গণেশ পূজা প্রচলিত আছে। গণেশ তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু তার হাতির মাথাটিই তাকে সর্বাধিক পরিচিতি দান করেছে। বিভিন্ন শোভকার্যে উৎসব ও অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁর পূজা প্রচলিত আছে। অক্ষর ও জ্ঞানের দেবতা রুপে লেখার শুরুতেও গণেশকে আহবান করা হয়।
শহরে উকিলপাড়া পূজা মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পীরা মূর্তিতে রং তুলির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উকিলপাড়া দূর্গা মন্ডপের প্রতিমা শিল্পী কানাই লাল চক্রবর্তী দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, মূর্তি প্রস্তুতের কাজ শেষ। এখন শুধু রং তুলির কাজ চলছে।
তিনি বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় মূর্তির দাম এবার একটু কম। সর্বনি¤œ দাম ৮ শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে মূর্তি তৈরি করেছি। আর গনেশ পূজায় মুর্তির চাহিদা থাকে অনেক কারন প্রত্যেক হিন্দু ব্যবসায়ীরা পহেলা বৈশাখে তাদের প্রতিষ্ঠানে গনেশ পূজা করেন। তাই গনেশ মূর্তির চাহিদাও বেশি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ